সাংবাদিক রোজিনার পাসপোর্ট ও মোবাইল ফেরতের আবেদন নাকচ
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন ও পিআইডির অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ফেরতের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন ও পিআইডির অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ফেরতের আবেদন করা হয়। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এর আগে গত ২৩ মে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিক রোজিনাকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেদিন বিকেলে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সচিবালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। এ সময় তাঁকে হেনস্তা করা হয়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনদের দাবি, শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার কথা বলে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পৌনে ৯টার দিকে তাঁকে থানায় আনা হয়।
গভীর রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয় নথি চুরির মাধ্যমে সংগ্রহ এবং ওই নথি দ্বারা বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।