সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এই দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন সাঈদী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আদালত উপস্থিত করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী পরবর্তী সাক্ষ্যর জন্য এ তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত বছর ১১ জানুয়ারি সাঈদীসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার অন্য ৫ আসামিরা হলেন-ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক। আসামিদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে আছেন। আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল হক পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামি জামিনে রয়েছে।
ইফার জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত বোর্ডের ১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০০৪-০৫ অর্থবছরের ১৩ লাখ টাকাসহ যাকাত তহবিলের মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার দেশের ৬৪ জেলায় গরিব ও দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ করে আত্মসাৎ করেন। উক্ত অর্থের মধ্যে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান জাতীয় বন্ধুজন পরিষদ ভোলার অনুকূলে ৫০ লাখ, কাঁঠালিয়া মুসলিম এ কে ইনস্টিটিউটের অনুকূলে ৬ লাখ ৫০ হাজার, মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মসজিদ কাউন্সিল ফর কামউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের অনুকূলে ৪৫ লাখ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্র পিরোজপুরের অনুকূলে ৫ লাখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুতফুল হকের দারুল কারার সোসাইটি, শরিয়তপুরের অনুকূলে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।
মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।