সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে এক মামলা খারিজ, অপরটি প্রত্যাহার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নামে করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। অপর মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাদী। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এর আগে মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে সাঈদ খোকনের নামে দুটি মামলা করা হয়। পরে বিচারক আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় কদম ফোয়ারার সামনে ডিএসসিসি কর্তৃক দোকান উচ্ছেদের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে সাঈদ খোকন বলেছিলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাঁকে বলব, রাঘব বোয়ালের মুখে চুনোপুটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন, তারপর চুনোপুটির দিকে দৃষ্টি দিন।’
এরপরই সাঈদ খোকনের বক্তব্যকে মানহানিকর উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তাপস।
ডিএসসিসি মেয়র বলেছিলেন, ‘যাদের সঙ্গে টাকা লেনদেন হয়েছে... যারা টাকা লেনদেন করেছে, তারাই অভিযোগ দিয়েছে। আমরা ঢাকা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অথবা আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো সময় কোনো অভিযোগ আনিনি। সেখানে যারা লেনদেন করেছে, যারা ব্যবসায়ী-দোকানদার হিসেবে অবৈধভাবে সেই জায়গাগুলোর দখলে ছিলেন, তাঁরা অর্থ লেনদেন করেছেন। সুতরাং এখন তিনি (সাঈদ খোকন) পুরো দোষ আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। সেটা অনভিপ্রেত বলে আমি মনে করি। সেটা শুধু আক্রোশের বশবর্তী হয়ে করা হয়েছে।’
তাপস আরো বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ফলে অবশ্যই মানহানি হয়েছে এবং আমি এ ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তাপস বলেছিলেন, ‘মানহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা মানেই আইনি ব্যবস্থা।’
এর পরই মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নামে দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলার বাদীর নাম কাজী আনিসুর রহমান। অপর মামলাটির বাদী অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আলম।
এর পরদিন ১২ জানুয়ারি সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে করা ওই দুই মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান মেয়র তাপস। মেয়র বলেন, ‘যে দুটি মামলা হয়েছে, সেই দুটি মামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দুজন আইনজীবী অতি উৎসাহী হয়ে এই মামলা করেছেন, আমি তাঁদের অনুরোধ করব, মামলা দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।’
এ সময় ব্যারিস্টার তাপস আরো বলেন, ‘সাবেক মেয়র আমাকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর আক্রোশের বশবর্তী হয়ে যে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা মানহানিকর হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পর্যালোচনা করছি। ভবিষ্যতে প্রয়োজন বোধ করলে মামলা হতে পারে।’