সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২৪ ফেব্রুয়ারি
রাজধানীর গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এই দিন নির্ধারণ করেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু। মামলার পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন না আসায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
আরজিতে আরো বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর ব্লক-এ, বি, সি মূল বিল্ডিংয়ের মূল নকশাবহির্ভূত অংশ হিসেবে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেন। তখন আসামিরা টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন। এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সি-তে দোকান না নিলে মূল মার্কেটের দোকান মালিকদের দোকানের বরাদ্দ বাতিল করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সি-তে দোকান বরাদ্দ নিতে বাধ্য করা হয়।
আরজিতে আরো বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্য আসামিরা অর্থ আত্মসাৎ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। মামলার বাদী কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তাঁকে প্রাণহানির চেষ্টা করেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবারের কথা চিন্তা করে বাদী তাদের বিরুদ্ধে জিডি করার সাহস পাননি। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েও কোনো ডকুমেন্ট দেননি।