সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আলমগীর কবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির ও সাউথইষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও দুদক বা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এ ৪৬ ধারায় এবং দুদক আইন ২০০৪ এর ১৯ ধারায় এ ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও দুদক বা বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে অপসারণ করে তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এক সময় পিপলস লিজিংয়ের মতো হয়তো এ ব্যাংকের কোনো অর্থের হদিস মিলবে না।
শুনানি শেষে আদালত অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদককে আগামী তিন মাসের মধ্যে আলমগীর কবীরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের দুর্নীতি নিয়ে ‘এক চেয়ার এক লাখ ৪০ হাজার’ শিরোনামে প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।