সাজেদা চৌধুরীর জানাজা নগরকান্দা ও বায়তুল মোকাররমে, দাফন বনানীতে
বৃষ্টির কারণে সংসদ ভবনে হচ্ছে না সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা। তাঁর নিজ নির্বাচনি এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দার এম এন একাডেমী মাঠে সোমবার সকাল ১১টায় প্রথম জানাজা হবে।
এরপর বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ আসর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
রোববার দিনগত রাত ১২টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ইন্তেকাল করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে তিনি ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন।
১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্লস গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। একাধিকবার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত সংসদ উপনেতা ছিলেন।