সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি : প্রধানমন্ত্রী
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু শুধু আওয়ামী লীগের নয়, দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সংসদে বলেছেন, দলের পাশাপাশি জাতির জন্য তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী) চলে যাওয়াতে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমাদের দেশের ক্ষতি, জাতির ক্ষতি এমনকি আমারও (ক্ষতি) হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে সংসদ উপনেতা মরহুম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমান, ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথসহ সাবেক একাধিক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্টজনের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি শুধু সংসদ উপনেতাই নন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবক, সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তাঁকে হারিয়ে আমাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন সত্যিকার নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিকে হারাল। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের সঙ্গে ছিলাম একে একে সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বয়স হয়ে গেছে যেতেই হবে, হয়তো আমিও একদিন যাব। তবে, যে যেটা করেছেন (যাঁর যাঁর অবদান) সেটা আমাদের স্মরণ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান, চলার পথে সব সময় মরহুম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে পাশে পেয়েছেন। তাঁকে ফুপু বলে ডাকতেন এবং সত্যিকার অর্থে যেন তাঁর ফুপুই তিনি ছিলেন এবং স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেহেতু জনগণের সংগঠন আর সাজেদা চৌধুরীরর মতো অসংখ্য নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীরা এই সংগঠনের হাল ধরে থেকেছেন বলে চরম দুঃসময়েও এই সংগঠন কখনও দিক হারায়নি, নীতি-আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেছে। তাই আমি আশা করি, আমাদের যারা নেতৃবৃন্দ আছেন তারা কিন্তু এই প্রয়াত নেতাদের আদর্শটা মাথায় রেখেই সংগঠনকে এগিয়ে নেবেন, সেটাই আমি চাই।’
স্পিকার এ সংক্রান্ত শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করলে জাতীয় সংসদ তা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে। পরে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।
চলতি সংসদের কোনো সংসদ সদস্য মারা গেলে সংসদে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা করে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মূলতবি করা হয়। স্পিকার ড. শিরীর শারমিন চৌধুরী পরে অধিবেশন মূলতবি করেন।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, আসম ফিরোজ, শ ম রেজাউল করিম, ওয়াসিকা আয়শা খান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদ উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।