সাতক্ষীরায় ভেজাল মধুসহ সরঞ্জাম জব্দ, কারিগরকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড
সাতক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ১৫২ কেজি ভেজাল মধু ও মধু তৈরির সরঞ্জাম জব্দসহ একজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথভাবে জেলা শহরের সুলতানপুর এলাকায় এই অভিযান চালায়।
ভেজাল মধু তৈরির কাজে জড়িত অভিযোগে কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কারিগরের নাম শাজাহান গাজী (৪০)। তিনি শ্যামনগরের হরিনগর এলাকার বাসিন্দা। তবে ভেজাল মধু প্রস্তুতকারী ‘সুন্দরবন মৌমাছি খামার’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর আলম গাজী মুকুল উপস্থিত না থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। যৌথ অভিযানটির নেতৃত্ব দেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তানভীর।
সাতক্ষীরা জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে চিনির সঙ্গে ফিটকিরি, রং, ফ্লেভার, স্যাকারিন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ নষ্ট মধু মিশিয়ে অরিজিনাল বলে বাজারে বিক্রয় করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সুলতানপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ সময় ৫১টি ড্রামভর্তি নষ্ট মধু, ৫০ কেজি চিনির সিরা, ৭০০ গ্রাম ফিটকিরি, ৫০০ গ্রাম ঘনচিনি এবং প্রস্তুতকৃত আট গ্যালন ভেজাল মধুসহ বিভিন্ন রাসায়নিক জব্দ করা হয়েছে।’
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘অসাধু চক্রটিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বেশকিছু জায়গায় এখনও ভেজাল মধু তৈরি করা হচ্ছে। তাদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তানভীর বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে। এ ছাড়া সব মালামাল জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা শাজাহান গাজীকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শাজাহান গাজী বলেন, ‘দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিতে নূর আলম গাজীর ওই কারখানায় ভেজাল মধু তৈরির কাজ করতাম।’