সাতক্ষীরা উপকূলে তীব্র তাপপ্রবাহ, নদীতে পানি ও স্রোত বৃদ্ধি
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। শ্যামনগর, আশাশুনিসহ ভাঙন কবলিত দ্বীপ ইউনিয়ন শ্যামনগরের গাবুরায় তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
গত দুদিন যাবৎ তাপপ্রবাহ চললেও আজ শনিবার (১৩ মে) গরমের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারী বর্ষণ হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এ ছাড়া খোলপেটুয়া ও চুনা নদীসহ সবগুলো নদীতে পানি ও স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ শ্যামনগরের গাবুরা এলাকার মানুষ। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাবুরার ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় সেখানকার বেড়িবাঁধ। এ ছাড়া নেবুবুনিয়াসহ অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ নেই তাই বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ এলে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
‘দৃষ্টিনন্দন’ মিঠা পানি প্রকল্পের পাশে খুবই নিচু একটি বাঁধ রয়েছে। সেখানে বেশ কিছুদিন যাবত ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে পাঁচ হাজার জিওব্যাগ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ভাঙন রোধ করার জন্য।
এলাকাটি তলিয়ে দৃষ্টিনন্দন পানির প্রকল্পটিতে লবণাক্ত পানি ঢুকে তা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে পানি সঙ্কট চরম আকার ধারণ করবে। ভাঙন কবলিত গাবুরা ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড পোল্ডার-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, “ভাঙন রোধের জন্য ২০ হাজার জিওব্যাগ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া গাবুরায় স্থায়ী বেড়িবাঁধের জন্য একটি মেগাপ্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। জেলেখালী এলাকা থেকে শুরু হয়েছে এই স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম। ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।”