সাতক্ষীরা মেডিকেলে আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি
সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কারণে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আটজনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে আরও একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় এই কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত।
খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা দুই সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির প্রধান হয়েছেন খুলনা মেডিকেল সাবডিপোর সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম গাজী। ওই কমিটির অপর সদস্য হলেন মোংলা পোর্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. মোশাররফ হোসেন। তদন্ত কমিটি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তদন্ত বিষয়ক কোনো তথ্য এই মুহূর্তে বলতে সম্মত হয়নি। কমিটির সদস্যরা বলেন, তদন্ত শেষে তাঁরা কথা বলবেন।
এর আগে একই ঘটনায় সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত ই খুদা তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আরিফ আহমেদকে প্রধান করে ওই কমিটিতে আরও রয়েছেন ডা. সাইফুল্লাহ ও ডা. মারুফ। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
গত ৩০ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে অক্সিজেন সংকটে আইসিইউতে দুজন, সিসিইউতে দুজন এবং সাধারণ করোনা ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন চারজনসহ মোট আটজন মারা যায়। মৃত আটজনের চারজনের করোনা পজিটিভ ছিল। সকাল থেকে অক্সিজেন সংকট দেখা দিলে চিকিৎসকরা কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করেন। কিন্তু যথা সময়ে সাতক্ষীরার সেন্ট্রাল অক্সিজেন পন্ড পূরণ না করায় অক্সিজেনের প্রেশার কমতে থাকে। একপর্যায়ে এর লেভেল কমে যাওয়ায় রোগীরা ছটফট করতে থাকে। এ সময় যে যার মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার বাইরে থেকে নিয়ে এসে নিজের রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। রাত ৮টার মধ্যে আটজন রোগী মারা যায়। এর আগে ওই দিনই করোনা উপসর্গে আরও ছয়জনসহ ১৪ জনের মৃত্যু ঘটে।
সিভিল সার্জন বলেন, আজ তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে এই মৃত্যুর কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
অক্সিজেন সংকটে মৃত্যু সম্পর্কে সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত ই খুদা বলেন, ওই দিন হঠাৎ করে অক্সিজেনের প্রেসার ফল্ট করে। কিন্তু অক্সিজেন ঠিক ছিল। এজন্য কয়েকজন রোগী মারা যায়। এখন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কী কারণে এ অক্সিজেন প্রেসার কমে যায়, তা তদন্ত করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিবে। তবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের কাছে সংরক্ষিত যে ৭০টি সিলিন্ডার ছিল, তা দিয়ে পুরো হাসপাতালে আমরা অক্সিজেন সাপ্লাই দিয়েছি।