সাধারণ মানুষ নয়, আওয়ামী লীগনেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে : মির্জা আব্বাস
সাধারণ মানুষ নয়, আওয়ামী লীগনেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে আজ শুক্রবার আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে তিনগুণ, আয় চারগুণ’—তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ক্রয়ক্ষমতা আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এক জিনিস নয়। আপনার প্রথমে শিখতে হবে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর ক্রয়ক্ষমতা এক কথা নয়। যদি ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে থাকে, সেটা বেড়েছে আওয়ামী চামচাদের, আওয়ামী নেতাদের।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আমরা সবাই একটি কারাগারে বন্দি হয়েছি। সাভারে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সমাবেশে গিয়েছিলেন। তাঁর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া বাকি রাখা হয়নি। শুধু বৃদ্ধ মা-বাবা ছাড়া সবার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘এরশাদের আমলে দমন-নিপীড়ন করে আন্দোলন বন্ধ করা যায়নি, বরং সে আন্দোলনেই এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। জেলের তালা ভেঙে আমাদের মুক্ত করা হয়েছিল। মজনুকে আটক করেছেন, তাতে আন্দোলন কমেনি, কেউ ভয় পায়নি, বরং আন্দোলন বেড়েছে।’
পুলিশকে উদ্দেশ করে ঢাকার সাবেক এ মেয়র বলেন, ‘আপনারা রেশন পান, এজন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি গায়ে লাগে না। আপনারা কি বলতে পারবেন যে, আপনার আত্মীয়-স্বজন যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ভুক্তভোগী নন? বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভুক্তভোগী। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।’
মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।