সাপের ভয় দেখিয়ে লুণ্ঠনচেষ্টা, গোখরোটি সুন্দরবনে অবমুক্ত
মোংলা থানায় আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা কোবরা (গোখরো) সাপটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে থানা থেকে সাপটি করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবিরের কাছে হস্তান্তর করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সাপটিকে রাতেই সুন্দরবনের করমজল খাল পাড়ে অবমুক্ত করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সোহেল গারুলী (৩৫) ও জাকির গারুলী (৪০) এবং তাঁদের মোটরসাইকেলের চালক নজরুল কোবরা সাপটি নিয়ে গত সোমবার বিকেলে মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের টাটিবুনিয়া গ্রামের আলতাফের বাড়ি যান। তাঁরা ওই বাড়িতে ঢুকে পানির খাওয়ার কথা বলে সেখানে অবস্থান নেন। এরপর তাঁদের কাছে থাকা সাপ বের করে ওই ঘরের গৃহিণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার যা আছে দিয়ে দিতে বলেন। কিন্তু, গৃহিণী তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁরা সাপটি তাঁর গলায় পেচিয়ে দেন। এ সময় ওই গৃহিণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন। পরে পুলিশ সাপসহ ওই তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আর আদালত সাপটিকে সুন্দরবনে অবমুক্তের জন্য বনবিভাগের কাছে হস্তান্তরে পুলিশকে আদেশ দেন। সেই আদেশ অনুযায়ী পুলিশ মঙ্গলবার রাতে সাপটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
বন কর্মকর্তা আজাদ কবির আরও বলেন, এ সাপটি গোখরো প্রজাতির, যা লম্বায় চার ফুট। আর, বয়স প্রায় দুই বছর। সাপটি থানা থেকে এনে করমজল খালের পাশে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।