সাভারে বাড়ছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য
সাভারে আবারও বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঘটছে মারপিটের ঘটনা। লেগেই থাকে বাগ্বিতণ্ডা। গতকাল শুক্রবার রাতেও ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে এক জনকে জখমের ঘটনা ঘটেছে। আহত আমিন (১৭) নামের ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, সাভার ও আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হামলায় এ পর্যন্ত দুজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এলাকাবাসী বলছেন, এ ছাড়া আছে ছোটখাট বেশ কিছু আহতের ঘটনা। যেগুলো স্থানীয়ভাবেই মীমাংসা হয়ে গেছে বলে খুব বেশি জানাজানি হয়নি।
সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন সূত্র বলছে, বিকেল হলেই এলাকার মোড়ে মোড়ে দেখা মেলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের। তারা অস্থির করে রাখে আশপাশের পরিবেশ। এসব গ্যাং সদস্যের উগ্র চলাফেলা ও কথা বলার ধরনে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকেন বয়োজ্যেষ্ঠরাও।
নারীদের নিয়ে নানা কটূক্তি ও ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে এবং উঠতি বয়সি মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যেরা। ভয়ে মুখ খোলেন না ভুক্তভোগীরা।
সন্ধ্যা নামলেই অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মোটরবাইক চালায় এসব কিশোর গ্যাং সদস্যেরা। পাল্লা দিয়ে মোটরবাইক চালায়। নিজেদের মধ্যেও জড়িয়ে পড়ে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে।
গতকাল শুক্রবার রাতে সাভারের শিমুলতলা সিআরপি রোড এলাকায় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আমিনকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে জখম করেছে অপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে সবাই মসজিদে তারাবির নামাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ সিআরপি রোডের শিপনের মুদি দোকানের সামনে মারামারি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় ও আশপাশের এলাকা থেকে আসা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যেরা।
পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত আমিনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার চিকিৎসকেরা বলছেন, আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও আহত কিশোরের রক্তমাখা জুতাসহ ঘটনার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাভার মডেল থানায় এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
সাভার মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাজমুল হুদা বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’