‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দিতে হবে’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘একজন সত্যিকার মুসলমান কখনও অন্যের ক্ষতি করতে এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে জড়াতে পারে না। আউলিয়া সাধক ও দরবেশদের এ দেশে জঙ্গিবাদীর ঠাঁই হবে না। সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। এ দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক ও উদার। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের রুখে দিতে হবে।’
মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের আয়োজনে আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার ব্যবস্থাপনায় আজিমুশ্শান জশনে জুলুসে অংশগ্রহণকারীরা কলেমা খচিত পতাকা, জাতীয় পতাকা ও নানা প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন বহন করে স্লোগানে রাজধানীর রাজপথ মুখরিত করে তোলে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের শান্তি মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সুফীজ প্রেসিডেন্ট হযরত শাহ্সূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।
আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে জশনে জুলুস ইসলামি সংস্কৃতির আজ অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার ১২ রবিউল আওয়ালকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইসলামের মূল মর্মবাণী হলো—মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা। যারা এই মূল মর্মবাণী ধারণ করে, তারা কখনও ইসলামের নামে অন্য কারও ওপর আক্রমণ করে না। আজ ইসলামের মূল থেকে সরে গিয়ে ইসলামের ভুল ব্যখ্যা দেয়। যুবক তরুণদের বিপথে নিয়ে যায়। অলি-আউলিয়াদের মাধ্যমে ভালোবাসায় এই জনপদে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা এদের বিরুদ্ধে কথা বলে, সহিংসতা সৃষ্টি করে, অন্য ধর্মের প্রতি হামলা করে, তারা ফেৎনা সৃষ্টিকারী। আমাদের এ দেশের স্বাধীনতার জন্য মুসলমান-হিন্দু একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। এ দেশ সবার। আজ যারা বিভ্রান্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে, পবিত্র ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে ফেৎনা ছড়িয়ে যাচ্ছে, তাদের আমাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ না রেখে, নিজেদের মধ্যে ফেৎনা না রটিয়ে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।’
সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মুফতী বাকি বিল্লাহ আল্-আযহারীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নুরুল আমীন রুহুর এমপি, আঞ্জুমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব কাজী মুহাম্মদ মহসীন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়া অ্যাম্বাসির মিনিস্টার কাউন্সেলর হিদায়াত আৎজেহ, মইনীয়া যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহজাদা সাইয়্যিদ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্জাদা সাইয়্যিদ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী প্রমুখ।