সারা দেশে রেললাইনকে ব্রড গেজে রূপান্তর করা হবে : রেলপথমন্ত্রী
দেশের সব রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রড গেজে রূপান্তর করা হবে উল্লেখ করে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী রেল ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলচলাচলে নারায়ণগঞ্জ হয়ে করলে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে সময়ও কমবে, তাই সেটা করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলমন্ত্রণালয়ের।’
রেলমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লা-লাকসাম ডাবল লাইনটি সাময়িকভাবে উদ্বোধন করা হলো। আগামীতে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত পুরো কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।’
আজ শনিবার সকালে কুমিল্লা থেকে জেলার লাকসাম জংশন পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার নবনির্মিত রেলপথের দুই লেনের উদ্বোধনকালে রেলপথমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আজ বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম হয়ে রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন কুমিল্লা রেলস্টেশনে আসেন। কুমিল্লা-লাকসাম রেলপথের দুই লেন সড়কের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দেওয়া হলো। ফলে দেশের পূর্বাঞ্চল রেলে ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনা আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসেম খান, রেলপথ মন্ত্রালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স চেয়ারম্যান ও মোহামেডান ফেডারেশনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রীর স্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রালয়ের ডিডি, ডিএম, প্রকল্প কর্মকর্তা, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, কুমিল্লা ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী লেয়াকত আলী মজুমদারসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে বাকি অংশও ব্রডগেজ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে সমীক্ষা শেষ হয়েছে, দ্রুতই মূল কাজ শুরু হবে। মিটারগেজ লাইন পুরোপুরি ভেঙে না ফেলে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তরের প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী রেলের সবুজ পতাকা উড়িয়ে বাঁশি বাজিয়ে কুমিল্লা-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ সড়কের উদ্বোধন করেন।
ছয় হাজার ৫০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি ডুয়াল গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করছে রেলওয়ে। যার মধ্যে কুমিল্লা থেকে জেলার লাকসাম জংশন পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার কাজ শেষ হওয়ায় আজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। তবে বাকি আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত বাকি ৪৮ কিলোমিটার দুই লাইনে উন্নীতের কাজ চলমান, যা ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে চালুর লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।