‘সার্চ কমিটিতে এককভাবে নাম পাঠাবে আওয়ামী লীগ’
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটিতে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম পাঠাবে আওয়ামী লীগ। তবে সেটি জোটগতভাবে নয়, এককভাবে। কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেছেন।
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা পাঠানো হবে।’ এর আগে তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আরনৌদ হামিলির্সের সঙ্গে বৈঠক করেন।
দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে বিএনপি প্রসঙ্গে মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে নাম পাঠানো তাদের দায়িত্ব। তবে, বিএনপি নাম দিল কি দিল না—তাতে কিচ্ছু যায় আসে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সার্চ কমিটি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এমন একটা কমিশন গঠন করবে, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি যতই আন্দোলন-সংগ্রামের হুমকি দিক না কেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে, অনেক ভূঁইফোঁড় দলও রয়েছে। ২০ দল নিয়ে বিএনপির জোট রয়েছে, এটিকে বাড়িয়ে তারা ৩০ দলও করতে পারে। দলের সংখ্যা বড় কথা নয়, জনগণের ঐক্য হতে হবে এবং জনগণের মাঝে এসব দলের ভিত্তি ও জনপ্রিয়তা কতটুকু, তা দেখতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, ‘আমি মনে করি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর জনগণের বিপুল সমর্থন রয়েছে।’
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ‘বিএনপি যত বৃহত্তর ঐক্য, আন্দোলন-সংগ্রাম করুক না কেন, সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। ২০১৪ সাল থেকে তাঁরা আন্দোলন-সংগ্রামের নামে গাড়ি ভাঙচুর, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে চরম নৃশংসতা ও বর্বরতার পরিচয় দিয়ে আসছে। কিন্তু, সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়নি।’
এর আগে ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর আরনৌদ হামিলির্সের সঙ্গে বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী কৃষিখাতে বাংলাদেশের সাফল্য ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে ইফাদের আরও বেশি সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ‘ইফাদ কৃষিখাতের উন্নয়নে খুব সহজ শর্তে, কম সুদে ঋণ দেয়। এ মুহূর্তে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলে ফসল উৎপাদনে কাজ চলমান আছে।’
পরে ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর আরনৌদ হামিলির্স বাংলাদেশে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, উপকূলে লবণাক্ত এলাকায় ফসল উৎপাদন, কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবেন বলে জানান। ইফাদ পাঁচ বছরের জন্য যে কান্ট্রি প্ল্যান করতে যাচ্ছে, সেখানে এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।