‘সিইসির অসহায়ত্ব প্রমাণ করে সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখলাম সিইসি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। সেদিন সিইসি বলছে, সংসদ সদস্য যদি কথা না শুনে তাহলে আমার কিচ্ছু করার নেই। এটা কী কথা হলো মাননীয় স্পিকার। একজন সাংবিধানিক পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন। তাহলে আমরা যে বলছি; ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এটি তাঁর অন্যতম নজির ও অন্যতম দৃষ্টান্ত।
আজ সোমবার সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ জাতীয় সংসদে বলেন, পবিত্র কোরানের সুরা ইউসুফে বর্ণনা করা হয়েছে, মিসরে যখন দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল তখন হযরত ইউসুফ (আ.) কে দায়িত্ব দেওয়া হলো অর্থ বিভাগের। তিনি দক্ষতার সাথে তা মোকাবেলা করেন। আমাদের দেশের কোষাগার আজ অরক্ষিত। দেশের লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশ নিয়ে গেছে। গত দশ বছরে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পাচারকারিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমি মনে করি, দেশের অর্থ বিভাগ সুরক্ষিত করতে হবে।
পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে, চুরি করলে হাত কেটে দিতে হবে। কারণ তখন চুরি বন্ধ হবে। আল্লাহ নিজে বলেন, আমি প্রজ্ঞাময়। একইভাবে মদকে আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, মদ খেলে সামান্য উপকার। কিন্তু ক্ষতির সংখ্যাই বেশি। উপকার বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে, বিক্রেতা ও কর্মচারিরা আর্থিক লাভবান হয়। একইভাবে পাচার করা টাকাকে দায়মুক্তি দিলে দেশ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এমপি হারুন আরও বলেন, দেখলাম নির্বাচন কমিশনে ৭৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলো তারা কী দায়িত্ব পালন করতে পারছে? বাংলাদেশে কী নির্বাচন হচ্ছে। বাংলাদেশে তো নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখলাম সিইসি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। সেদিন সিইসি বলছেন, সংসদ সদস্য যদি কথা না শুনে তাহলে আমার কিচ্ছু করার নেই। এটা কী কথা হলো মাননীয় স্পিকার। একজন সাংবিধানিক পদ থেকে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারে। তাহলে আমরা যে বলছি; ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এটি তাঁর অন্যতম নজির ও অনন্য দৃষ্টান্ত।
এমপি হারুন বলেন, সাবেক সিইসি নূরুল হুদা বলেছেন, ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে। তাহলে তিনি কেন ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করলেন তার বিচার হওয়া দরকার। তাকে আইনের আওতায় আনা দরকার। জননিরাপত্তার জন্য ব্যয় বাড়ালেও জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে বৈষম্য হচ্ছে। দেশে জননিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তার পরিবর্তে নির্যাতন করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি চিত্র তার প্রমাণ।