সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ ৩
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারগুলো তাদের খোঁজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। আজ বুধবার (৮ মার্চ) সকালে এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চত করেছেন ঢাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন—মো. মেহেদী হাসান, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূইয়া (সেলিম) ও রবিন হোসেন।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে পাঁচজনের পরিবার তাদের স্বজন নিখোঁজের দাবি করেন। পরে দুইজনের খোঁজ পাওয়া যায়। এখন তিনজনের খোঁজ মিলছে না। আমরা বিষয়টি উদ্ধারকারীদের জানিয়েছি।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্থানের সিদ্দিক প্লাজায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর নদী (৩৫) ও তার স্বামী মমিনুল (৩৮), বংশাল সুরিটোলার সুমন (২১), যাত্রাবাড়ীর শেখদির মনসুর হোসাইন (৪০), কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়ার রাহাত (১৮), চাঁদপুর মতলবের আল আমীন (২৩), কলাবাগান গ্রিন রোডের ইশহাক মৃধা (৩৫), বংশাল আলু বাজারের ইসমাইল (৪২) এবং কদমতলী মাতুয়াইলের মাইনুদ্দীন (৫০), হৃদয় (২০), ইদ্রিস মিয়া (৬০), আবৃত্তি বেগম (৭০), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), নাজমুল হোসেন (২৫) এবং সম্রাট।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমানের উপস্থিতিতে স্বজনদের আবেদন পাওয়ার পর সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে আপাতত ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
ওই ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।