সিনহা হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় চলছে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক। আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ যুক্তিতর্ক শুরু হয়। আগামী বুধবার পর্যন্ত যুক্তিতর্ক চলবে।
আজ সকাল ৯টার দিকে মামলার আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গতকাল রোববার যুক্তিতর্কের প্রথম দিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ, অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দীন প্রমুখ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। পরে আসামি এপিবিএনের বরখাস্ত তিন সদস্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং এ মামলায় আসামি হওয়া পুলিশের তিন সোর্সের পক্ষে অ্যাডভোকেট শামসুল আলম তাঁদের যুক্তিতর্ক শুরু করেন। আজ অন্যান্য আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক চলছে।
অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ব্রিফিং জানান, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরস্পর যোগসাজশে এ হত্যাকাণ্ড হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা আলামত নষ্ট করে ফেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান, এ মামলায় আট দফায় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। জেরা শেষ হয়েছে। জেরার পর ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেন আদালত। একই সঙ্গে গতকাল রোববার থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। পরে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।