সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে দেড় মাসে ১৯ জন নিহত
সিরাজগঞ্জে ১০৫ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে অনেকে নিহত হচ্ছেন, আবার অনেকে পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছেন। আহত ব্যক্তিরা বয়ে বেড়াচ্ছেন দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর জন্য এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন মহাসড়কে গত দেড় মাসে ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ৯ জুন উল্লাপাড়ায় ট্রাকচাপায় নিহত হন আশরাফুল ইসলাম নামের এক যুবক। ৭ জুন সলঙ্গায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে রওশনারা বেগম নামের এক নারী ও দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নাজমুল ইসলাম নামের এক চালক নিহত হন। ৪ জুন সলঙ্গায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক সোবাহান সরকার, ২৭ মে শাহজাদপুরে ট্রাক প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাবনার বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ভূইয়া, ২২ মে কামারখন্দে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে চালক রায়হান, ১৮ মে সয়দাবাদে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মনিরা আক্তার মৌ, ১৯ মে কামারখন্দে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবুল শেখ ও ১৩ মে রায়গঞ্জ ও সয়দাবাদে অজ্ঞাতনামা দুজনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া ১২ মে সলঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নুরনবী, ৯ মে কামারখন্দে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সাদেকুর হক, ৬ মে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক মনির শেখ, ৩ মে তাড়াশে মহিষলুটি বাজার ও ৯ নম্বর ব্রিজ এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন, ১ মে ভটভটির ধাক্কায় অটোরিকশার আরোহী খাইরুজ্জামান খোকন, ১৮ এপ্রিল শাহজাদপুরে নসিমন এবং মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে সুজন শেখ ও শামীম হোসেন নামের দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও মানব সম্পদ উন্নয়নে হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়ন মোটর শ্রমিকদের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। উত্তরবঙ্গের এক হাজার ৩৫ কিলোমিটার মহাসড়কের ৯২৫ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। এ ছাড়া মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সঙ্গে অবৈধ যানবাহন থ্রি হুইলার, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে তারা। মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্ট, টহল ডিউটি ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগসহ ব্যাপক তৎপরতার কারণে মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, ‘বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া টহল পুলিশও কাজ করছে। দ্রুতগতিতে যেন যানবাহন চলাচল না করে, এ জন্য চালকদের সতর্ক করা হচ্ছে।’