সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার উপরে, দুর্ভোগে জনজীবন
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বসতবাড়ি ও রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিত মানুষ।
জেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁত কারখানায় পানি ঢুকে পড়ায় বেকার হয়ে পড়েছে শ্রমিকেরা, তাঁত মেশিন নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালিকেরা।
আজ সোমবার সকালেও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি।
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এরই মধ্যেই নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বন্যা কবলিতরা।
তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ জেলার বিভিন্ন এলাকার তাঁত কারখানায় পানি উঠে বন্ধ হয়ে গেছে কারখানা। এতে বেকার হয়ে পড়েছে তাঁত শ্রমিকেরা। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কারখানার ইলেকট্রনিক মোটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে মালিকেরা।
সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ‘যমুনা নদীবেষ্টিত জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার প্রায় ২৫টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য পাঁচটি উপজেলায় ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রচুর ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন তা সরবরাহ করা হবে।’