সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুরুতরসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের বাইরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।
সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হোসাইন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদীয় ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম এ কর্মীসভার আগে বাঁধা দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বিদ্রোহী গ্রুপ।
সিকৃবি শাখা সহসভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসাইন, আকাশ ভূঁইয়া, ও প্রান্ত ইসলাম এই বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্বে এই বাঁধা দেওয়া হয়। এতে শুরু হয সংঘর্ষ। ক্যাম্পাসের পাঁচটি আবাসিক হলে থেকে দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন অহত হন।
এ সময় সহসভাপতি সাব্বির মোল্লা ও তাঁর অনুসারী জুনায়েদ আহমেদ শাহ পরান হলে ঢুকে কয়েকটি কক্ষ ভাঙ্গচুর করেন। কক্ষগুলোতে সভাপতি আশিকুর রহমানের অনুসারীরা থাকতেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, কোনো উসকানি ছাড়াই শরীফ হোসাইন, সাব্বীর মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থবির করে রাখতে এই হামলার ঘটনা বলে দাবি আশিকের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মনিরুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদীয় ছাত্রলীগের কর্মীসভা আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। তাদের শান্তিপূর্ণভাবে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শাহপরান থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ জাহান বলেন, ‘পুলিশ ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় হতাহতের বিষয়ে জানা যায়নি।’