সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : ২২ জনের লাশ হস্তান্তর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএমন কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ২২ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্টদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
আজ সোমবার সকালে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে পরিচয় শনাক্ত হয়নি—এমন মরদেহের পরিচয় জানার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোছা. ইনসাফি হান্না বলেন, ‘অজ্ঞাত মরদেহগুলোর চেহারা চেনা যাচ্ছে না। অনেকের চেহারা পুড়ে বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে যাদের স্বজনেরা এখনও নিখোঁজদের খুঁজছেন, তাঁরা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নির্ধারিত স্থানে যোগাযোগ করলে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হবে।’
এরই মধ্যে চমেক হাসপাতাল এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে—যাঁদের স্বজনের খোঁজ মেলেনি, তাঁরা যেন সোমবার সকালে হাসপাতালে অবস্থান করেন। এরপর দাবি করা স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দপ্তরের এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, মরদেহ হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের নগদ দুই লাখ টাকার চেক এবং দাফন-কাফনের যাবতীয় খরচ দেওয়া হচ্ছে। যাদের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডরে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।