সীতাকুণ্ডে ২৪ ঘণ্টায় দুই মাছ শিকারির মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বিএমএ লেকে এবং কুমিরায় বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করতে গিয়ে আবুল কাসেম ও নুর করিম নামের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন উপজেলার ছোট কুমিরা ইউনিয়নের হিঙ্গুরীপাড়ার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে নুর করিম (৩৭) ও ভোলা জেলার বাসিন্দা আবুল কাশেম (৪৫)।
গতকাল সোমবার ও গত রোববার মাছ শিকার করতে গিয়ে পানিতে ডুবে তারা মারা যান।
গতকাল সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) এলাকায় সানসেট পয়েন্ট সংলগ্ন লেকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লেকের গভীর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এর আগে মো. রবিউল আলম, মো. মনিরুল আলম, মো. ফিরোজ ও নিহত আবুল কাসেম বিএমএ কর্তৃপক্ষ থেকে বড়শির পাস নিয়ে লেকে মাছ ধরতে বসেন। সকাল সাড়ে ৯টায় আবুল কাসেমের বড়শিতে একটি বড় মাছ আটকে। এ সময় তার হাত থেকে মাছ বড়শির ছিপ টেনে নিয়ে গেলে কাসেম লেকের পানিতে ঝাঁপ দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছিপটি ২০ ফুট দূরে ভেসে ওঠে। সাঁতরে সেখানে গিয়ে ছিপটি ধরার পর গভীর লেকের পানিতে তিনি ডুবে যান। তাৎক্ষণিক সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা বিষয়টি বিএমএ কর্তৃপক্ষকে জানালে খবর পেয়ে ডুবুরিদল এসে ১১টা ২২ মিনিটে কাসেমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত আবুল কাসেমের বাড়ি ভোলা জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর শেরশাহ এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ ও ফৌজদারহাট ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এদিকে লেকে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুর নবী।
অপরদিকে, গত রোববার সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায় বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে বেলা ১১টার দিকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় নুর করিম নামের এক যুবক পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। রাত ৮টায় সাগরে জোয়ারের পানি কমে গেলে তাঁর পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হয়। পরে সাগরের বাঁধ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ খুঁজে পায়। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়েও তারা নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পায়নি। নিহত নুর করিম ছোট কুমিরা ইউনিয়নের হিঙ্গুরীপাড়ার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে।