সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ
সীমান্তে গোলাগুলি ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গোলাবর্ষণ ও মর্টার শেল এসে পড়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)। একইসঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলেও জানিয়েছে তারা। সীমান্ত প্রটোকল অনুসরণ করবে বলেও আশ্বস্ত করেছে।
আজ রোববার কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর পাড়ে শাহপরীর দ্বীপে বিজিবি রেস্ট হাউজে দুদেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী এসব প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।
সকাল ১০ টায় বৈঠক শুরু হয়। চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বিজিপির প্রতিনিধি দল বিকেল ৩টায় নাফ নদী দিয়ে শাহপরীর দ্বীপ ত্যাগ করেন। বিকেলে টেকনাফে বিজিবি ব্যাটালিয়ন হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, পতাকা বৈঠকে সীমান্তে গোলাগুলি ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গোলাবর্ষণের জন্য মিয়ানমার প্রতিনিধির কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আজিজুর রউফ বক্তব্য দেন। সেখান থেকে জানানো হয়, পতাকা বৈঠকে সীমান্ত দিয়ে মাদকপাচার ও অনুপ্রবেশ রোধে দুদেশ যৌথভাবে কাজ করবে।
বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল শেখ খালিদ বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯ টায় মিয়ানমারের বিজিপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফে পৌঁছে। পরে সকাল ১০ টায় শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাট সংলগ্ন বিজিবির সোদান রেস্ট হাউজে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকটি শুরু হয়। এতে বিজিবির পক্ষে তাঁর নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অপরদিকে, বিজিপির মংডু-১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো সাত সদস্য বিশিষ্ট দলের নেতৃত্ব দেন।’
বিজিবি জানিয়েছে, গত প্রায় তিন মাস ধরে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছে। সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিজিপির কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠানোও হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বৈঠকে বসতে রাজি হয়। পরে আজ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।