সুজানগরের ১০ ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংসদ সদস্যের ভাইসহ অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলেও জানা গেছে।
সুজানগর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ভায়না ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমিন উদ্দিন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর ফারুক।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এসএম শামসুল আলম ছাড়াও দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল হোসেন ও পাবনা-২ আসনের এমপি আহমেদ ফিরোজ কবিরের আপন ভাই আহমেদ ফেরদৌস কবির।
মানিকহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শফিউল ইসলামের পাশাপাশি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন উপজেলা আ.লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মজিবুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম আমিনুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্বাস আলী মল্লিক।
হাটখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুর রউফ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র হিসেবে ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ খান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, আ. লীগ নেতা ওমর ফারুক বিশ্বাস, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, উপজেলা আ.লীগের সদস্য আজাহার আলী শেখ ও কাজী মোজাম্মেল হোসেন।
নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মশিউর রহমান খান ও বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সাত্তার প্রামানিক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আব্দুস সাত্তার ও স্বতন্ত্র হিসেবে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন আব্দুল হামিদ শেখ, ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি টিপু আলী মুন্সি ও স্থানীয় আ.লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ।
তাঁতিবন্দ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আব্দুল মতীন মৃধা ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দুইজন। তারা হলেন স্থানীয় আ.লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক খান ও বিএনপি সমর্থিত শেখ আব্দুর রউফ।
সাগরকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহিন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জাকের হোসেন ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি তৈয়ব আলী শেখ, স্থানীয় আ.লীগ নেতা টিপু সুলতান ও ইউনিয়ন আ.লীগ সদস্য খান মোহাম্মদ গোলাম রসুল বকুল।
রানীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিএম তৌফিকুল আলম পিযুস, জাকের পার্টির মকবুল হোসেন শেখ, জাতীয় পার্টির আবু তালেব সরদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সৈয়দ আলী বিশ্বাস এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক টুটুল কাজী।
দুলাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান, জাতীয় পার্টির গোলাম মোর্শেদ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন স্থানীয় আ.লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ।
আহমেদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল বাছেদ শেখ ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চার জন। তারা হলেন আশরাফুল আলম, স্থানীয় আ. লীগ নেতা স্বপন মিয়া, স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিরা মিয়া ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘বিদ্রোহীরা যদি তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’