সুনামগঞ্জে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাত্রীবাহী বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসচালক ও তাঁর দুই সহকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা নারী নির্যাতন ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটি। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের আলফাত স্কয়ারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার সঙ্গে জড়িত বাসের চালক, হেলপারসহ সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। নইলে সুনামগঞ্জে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পাঞ্চালী চৌধুরী, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুব ইউনিয়নের নেতা তাহের আলী, আইনজীবী এ. আর. জুয়েল, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আসাদ মনি প্রমুখ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে আসার পথে দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে যাত্রীবাহী বাসে একা পেয়ে বাসচালক ও তাঁর দুই সহকারী ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়ে। আহত অবস্থায় তাকে দিরাই হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। তবে বাসচালক, কন্ডাক্টর (ভাড়া আদায়কারী) ও হেলপার পলাতক রয়েছেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক, কন্ডাক্টর ও হেলপারকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে দিরাইয়ে চলন্তবাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। আসামি যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারে।’