সুনামগঞ্জে পাথর মেরে শিশুকে খুন, যুবক কারাগারে
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের গুজাউড়া হাছননগরে এনামুল হক মুসা (তালহা) নামের চার বছর বয়সী এক শিশুর মাথায় পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওমর ফারুক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত তালহার চাচা নূর হোসেন। মামলা দায়েরের পর আসামি ওমর ফারুককে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাগিব নূরের আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, শিশু তালহার মরদেহ শনিবার বিকেলে হাছননগরের বাসভবনে পৌঁছালে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিকেল ৫টায় জানাজা শেষে হাছননগর কবরস্থানে তালহার দাফন সম্পন্ন হয়।
আসামি ওমর ফারক সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে গুজাউড়া হাছননগরে শিশু তালহাকে মাথায় পাথর মেরে খুন করেন ওমর ফারুক। ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন ওমর ফারুককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শিশু খুনের পুরো ঘটনা পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
জানা যায়, শিশু তালহা শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া ওমর ফারুক প্রথমে তালহাকে লাথি দিয়ে মাটিয়ে ফেলে দেয়। এরপর ভারি পাথর ও ইট দিয়ে তালহার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে তালহার মাথা থেতলে যায় ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাস্তায় মেটারসাইকেল দিয়ে যাওয়া এক পথচারীর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত তালহাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিকেলে ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তালহাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, আটক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন নিহত শিশু তালহার চাচা নূর হোসেন। ওমর ফারুককে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।