সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক : জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ট্যাপিংয়ের জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ ছাড়া নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ট্যাপ করা অনৈতিক এবং বেআইনি। এটা দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন।’
গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে জিএম কদের এসব কথা বলেন।
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘দেশে একটি গোয়েন্দা প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে জেনেছি যে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবীদের স্মার্টফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িতদের জন্য ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো—রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিশেষ করে যারা সরকারবিরোধী রাজনীতিতে জড়িত তাদের মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন মেসেঞ্জার অ্যাপ অনুমতি ছাড়াই রেকর্ড করা হচ্ছে।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন- এসব কাজের যুক্তি ও উদ্দেশ্য কী হতে পারে? এখানে তাদের একটি যু্ক্তি হলো—সরকারের সমালোচনাকে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা মনে করে। তাই বলে কি সরকার ও রাষ্ট্র একীভূত হয়েছে?’
জিএম কাদের বলেন, ‘আরেকটি উদ্দেশ্য (ট্যাপিং) হতে পারে সরকার সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে চায়। রাজনৈতিক বিরোধীদের এ ধরনের হয়রানি ও নজরদারি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা। কথা বলার অধিকার প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার।’