সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সংবিধানের বাতিঘর : প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সংবিধানের বাতিঘর উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দ্রুত সময়ে একটি সংবিধান উপহার দেওয়া ছিল বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় উপহার। এ সংবিধানে আধুনিক রাষ্ট্রের রূপরেখা তৈরি করে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো-বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ। তিনটি বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
রাজধানীর শেরেবাংলানগরে আজ শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সংবিধানের অভিভাবক ও বাতিঘর হিসেবে জাগ্রত রয়েছেন। উভয় বিভাগের বিচারপতিরা সংবিধানের অতন্ত্রপ্রহরী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধান রক্ষায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। একইভাবে আমাদের বিচারবিভাগের স্বাধীনতায় রাষ্ট্রপতির অবদান অনস্বীকার্য। দেশের সংবিধান তৈরিতে যারা অবদান রেখেছেন তাদের অবদান অনস্বীকার্য। এখানে ড. কামাল হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত হয়েছেন- আমরা তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি জয়ানথা জয়সুরিয়া, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী জানান, ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন হয়। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মুকেশকুমার রাসিকভাই শাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।
দুটি অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরাসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীগণ উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টে অঙ্গনকে আলোকসজ্জাসহ নানা আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘থিমলোগো’ গত ১ সেপ্টেম্বর উন্মোচন করা হয়।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে ‘থিম লোগো’ উন্মোচন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।