সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনার টিকা নিয়ে সংশয় ডা. জাফরুল্লাহর
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি জানান, ভারতের এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি এই ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এ নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক ঘটেছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আজ শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে এ সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দুঃসংবাদ হলো ভারতের এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি এই ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করছে। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই, প্রত্যেকটা ওষুধেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, ভ্যাকসিনেরও আছে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি যখন ভয় পাচ্ছে, তখন একটা সন্দেহের উদ্রেক ঘটে বটে।’
এর আগে ভারতের উপহার হিসেবে দেওয়া করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালান গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। করোনার ভ্যাকসিন পরিবহণ করার জন্য দুটি কার্গো আনা হয় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকে এগুলো সংরক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তেজগাঁওয়ে ইপিআইয়ের সংরক্ষণাগারে।
করোনার টিকা গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এসব টিকা হস্তান্তর করেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
এরপর গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনার ধারাবাহিকতায় ভারতে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। প্রতিবেশী নীতির অংশ হিসেবে প্রথমে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’
হাইকমিশনার বলেন, ‘প্রতিবেশী কোনো দেশকে ভারতের দেওয়া সবচেয়ে বড় পরিমাণ উপহার এটি। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন) চালানটি ভারতের পুনেতে অবস্থিত সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করেছে এবং উপহার দেওয়ার উদ্দেশে ভারত সরকার তার নিজস্ব কোটা থেকে কিনেছে।’
উপহারের টিকার বাইরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি রয়েছে। অনলাইনে নিবন্ধন ছাড়া কাউকে করোনার এই টিকা দেবে না বাংলাদেশ সরকার।