সোম থেকে বৃহস্পতি শুধু রিকশা চলবে, অফিসও সীমিত
ভয়াবহ করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধে আগামী সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিনের জন্য সারা দেশে ‘সীমিত আকারে লকডাউন’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ‘সীমিত লকডাউন’ শেষে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ জারি করার কথা রয়েছে।
‘সীমিত লকডাউন’-এর সময় পণ্যবাহী যানবাহনের বাইরে কেবল রিকশা চলতে পারবে। আর সরকারি-বেসরকারি অফিস চালাতে হবে সীমিত সংখ্যক লোক দিয়ে। তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা নিজ নিজ অফিসকেই করতে হবে।
আজ রোববার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এসব উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
আগের দেওয়া ‘বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের’ ধারাবাহিকতার কথা উল্লেখ করে এবারের প্রজ্ঞাপনে সংযুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’
এ ছাড়া এই সময়ে শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং সব ধরনের বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
এই সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা যাবে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘খাবারের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এসব হোটেল-রেস্তোরাঁ শুধুমাত্র খাবার বিক্রয় করতে পারবে। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে কেউ খেতে পারবেন না।’
এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লোকজন আনা-নেওয়া করবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে ‘সীমিত আকারের লকডাউন’ ও ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৮ জুন (সোমবার) থেকে সীমিত লকডাউন থাকবে। অনেক আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের জুন ক্লোজিং আছে। এজন্য ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সারা দেশে টোটাল (সর্বাত্মক) লকডাউন শুরু হবে।’
এদিকে আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেন, এবারের লকডাউনে পুলিশ, বিজিবির বাইরে সেনাবাহিনী থাকবে। যদিও আজকের প্রজ্ঞাপনে লকডাউনে মাঠে সেনাবাহিনীর থাকার ব্যাপারে কোনোকিছু উল্লেখ করা হয়নি।