স্ত্রীর ওপর অভিমানে যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
রংপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি বাসভবনের সামনে সিরাজুল হক (২৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আজ বুধবার বদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনওর বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সিরাজুল হক উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ঝাড়পাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
স্বজনরা সিরাজুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সংসার করতে রাজি না হওয়ায় তিনি স্ত্রী আদুরী বেগমের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজীপুর গ্রামের আনিছুল হকের মেয়ে আদুরী বেগমের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে সিরাজুল হকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয়ে ঝগড়া ও মনমালিন্য লেগে ছিল। এর মধ্যে আদুরী বেগম স্বামী সিরাজুলের সঙ্গে সংসার করবে না বলে বাবার বাড়ি চলে যান। গত ২৮ জুন দেনমোহর দাবি করে আদালতে মামলা করেন তিনি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় আদালত। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার আনজুয়ারা বেগমসহ দুই পরিবারের লোকজনকে তাঁর কার্যালয়ে সালিসের জন্য আহ্বান করেন। এ সময় অভিযোগকারী আদুরী বেগম ও সিরাজুল হকের বক্তব্য শোনেন তিনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি আপোস করার জন্য আদুরী বেগমকে অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় আদুরী সংসার না করার জন্য বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় সংসার করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভে-অভিমানে উপজেলা চত্বরেই সিরাজুল হক বিষপানে আত্মহননের চেষ্টা চালান।
পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
আদুরী বেগম বলেন, ‘ব্যক্তিগত নানা সমস্যার কারণে আমি তাঁর সঙ্গে সংসার করব না। এ জন্য আদালতে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
সিরাজুলের ভাগিনা সুমন মিয়া বলেন, ‘আমার মামা সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু মামী তাতে রাজি নয়। উল্টো দেনমোহর দাবি করে আদালতে মামলা দেন। এ কষ্ট সইতে না পেরে হয়তো মামা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।’
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত উপসহকারি কমিউনিটি চিকিৎসক সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘সিরাজুল এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’