স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলার ২৫ বছর পর স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদলতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন।
একই সময় আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত গোবিন্দ চন্দ্র পাল (৫৩) শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রাম রায়েরকান্দি গ্রামের গোপাল পালের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৫ ডিসেম্বর পারিবারিক কলহের জেরে গোবিন্দ চন্দ্র পাল বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্ত্রী মিলানী রানী পালকে। ঘটনার পরের দিন শিবচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে থানার আরেক এসআই নাজমুল হক ভুইয়া ১৯৯৭ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০ জন সাক্ষীর নামসহ গোবিন্দর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণ হওয়ায় গোবিন্দ চন্দ্র পালকে স্ত্রী হত্যার দায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, আসামি গোবিন্দ চন্দ্র পাল পলাতক রয়েছেন। স্ত্রী হত্যার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। তাকে ধরতে এরইমধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহত মিলানী রানী পাল-গোবিন্দ চন্দ্রর সংসারে দুই সন্তান রয়েছে।