স্বর্ণালংকারের জন্যই রাজশাহীতে ছাত্রের হাতে শিক্ষিকা খুন
মাত্র সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকারের জন্য রাজশাহীতে ছাত্রের হাতে খুন হয়েছেন মুন্নুজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মায়া রাণী ঘোষ (৬৮)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মিলন শেখ (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। এ ছাড়াও মায়া রাণীর শরীর থেকে খুলে নেওয়া স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মিলন শেখ নগরীর ফুদকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় রঙমিস্ত্রি। তিনি মুন্নুজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা মায়া রাণী ঘোষের ছাত্র ছিলেন।
আজ বুধবার বিকেলে বোয়ালিয়া মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. মজিদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মজিদ আলী জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুমারপাড়া ঘোষপাড়া মহল্লার নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ করে মায়া রাণী ঘোষকে হত্যা করা হয়। স্বামী-সন্তানহীন মায়া রাণী ঘোষ টিনশেডের নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন। তিনি নগরীর মন্নুজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, মায়া রাণী ঘোষকে হত্যা করে তাঁর গলার স্বর্ণের চেইন, হাতের বালা ও কানের দুল নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন মিলন শেখ। এ জন্য কয়েকদিন থেকেই তিনি বাড়ি ভাড়া নেওয়ার নাম করে মায়ার বাড়ি যান। গতকাল মঙ্গলবারও তিনি মায়ার বাড়ি যান। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মিলন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজতে কাজ শুরু করে পুলিশ। ওই রাতেই মিলন শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। এ ছাড়া মিলনের দেখানো মার্কেটের ছাদ থেকে মায়া রাণীর মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়। মিলনকে মায়া রাণী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস, সহকারী কমিশনার উৎপল চৌধুরী, বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মণ ও পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।