স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভৈরবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ও আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলা চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ। সমাবেশে স্থানীয় শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ট্রাকে পতাকা বহন করে উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করেন। এ সময় ইউএনও মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুলহাস হোসেন সৌরভ, ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ উদ্দিন এবং ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের খোলামঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্থানীয় অতিথি ছাড়াও বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ থেকে আগত জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মান্নান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসির উদ্দিন ফারুকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মো. হাবিবুর রহমান, ডা. মো. সিদ্দিক হোসাইন, মনীন্দ্র চন্দ্র সরকার, রুহুল আমিন, এবি সিদ্দিক প্রমুখ।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ, শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা কিছু পাওয়ার আশা না করেই দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়ার শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন। মুক্তিযোদ্ধারা এদেশ স্বাধীন না করলে আজও এদেশের মানুষ পাকিস্তানের পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকত। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জের ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে একটি করে পাঞ্জাবি ও ফলের ডালা উপহার দেওয়া হয়।