স্বামীর অনার্স পরীক্ষা দিতে গিয়ে স্ত্রীর কারাদণ্ড
ছেলে সেজে স্বামীর অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্ত্রী। পরে তাকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। কক্ষ পরিদর্শকের অবহেলার কারণে মেয়েটি এমন সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহরের নেছারাবাদ এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান ঝালকাঠি সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় তিনি অংশ নেন।
আজ বেলা ১টায় ইংরেজি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক ছিলেন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। পরীক্ষার্থী মতিউর রহমানের পরিবর্তে ছেলে সেজে পরীক্ষায় অংশ নেন তাঁর স্ত্রী মারিয়া রহমান। দেড় ঘণ্টা তিনি পরীক্ষার খাতায় লিখেন। পরীক্ষার শুরুতে কক্ষ পরিদর্শক খাতায় স্বাক্ষরও করেন। পরে বিষয়টি ধরা পড়লে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ছেলে সেজে পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে তাকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা বুধবার শুরু হয়। ইংরেজি পরীক্ষায় স্বামীর পরিবর্তে স্ত্রী পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিষয়টি ধরা পড়ে দেড় ঘণ্টা পর। অসতর্কতার কারণে মেয়েটি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই মেয়েটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী বলেন, ছেলে সেজে পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে ওই তরুণীকে এক বছরের কারাণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থী মতিউর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তরুণীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।