স্বাস্থ্যবিধি না মানলে লঞ্চ মালিক ও যাত্রীদের জরিমানা
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঈদযাত্রায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে লঞ্চ মালিক ও যাত্রীদের জরিমানা করা হবে। সদরঘাটে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে নৌপুলিশ ও লঞ্চ মালিকদের যথাযথ নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা সদরঘাট নৌবন্দর পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সদরঘাট আগে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন ছিল। কিন্তু এখন সদরঘাট বাইরে-ভেতরে ফিটফাট। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১১ বছর ধরে আমরা সদরঘাটের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এতে আমাদের পাশে ছিল বিআইডব্লিউটিএ এবং লঞ্চমালিক ও যাত্রীরা। প্রতিনিয়ত সদরঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে, একমাস পরে এসে সদরঘাটের সৌন্দর্য আরও দেখতে পারবেন।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সদরঘাট এখন বিমানবন্দরের মতো। এটাকে আন্তর্জাতিকমানের করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনে গাছ লাগানো হয়েছে। যাত্রীদের এখন আর ভোগান্তি নেই, কুলিদের দৌরাত্ম্য নেই।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেকসহ ঢাকা নৌবন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি ও স্টিমারসহ জলযান চলাচল সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা করেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপথে ঈদযাত্রায় মানুষকে সুরক্ষিত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে। শতভাগ মাস্ক পরতে হবে। বাস বা ট্রেনের ক্ষেত্রে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব, লঞ্চের ক্ষেত্রে অনেক সময় সেটা কঠিন। তারপরও আমরা ডেকে ‘মার্কিং’ করে দিয়েছি। মার্কিং অনুযায়ী চলতে হবে। লঞ্চ মালিকরাও যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখায় তবে তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদের পর একদিনের মধ্যে রাজধানীতে ফেরার ক্ষেত্রে নৌপথে ফিরতি চাপটা কম হবে। কারণ কলকারখানা ছুটি থাকবে। বেশিরভাগ মানুষ ঢাকাতেই থাকবে। আর যারা গ্রামে যাবে তারা ছুটিতে থাকবে। সবার সহযোগিতায় এসব চাপ মোকাবিলা সম্ভব হবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ এম তাজুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।