স্বাস্থ্যের সচিব-ডিজিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
অন্য তিনজন হলেন- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বাবলু কুমার সাহা, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান ও ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের (এএফএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ারুল ইসলাম।
আজ বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও রিপন বাড়ৈ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, জিএমপি অনুসরণ না করে বরিশালের ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসসহ ২০টি মেডিসিন কোম্পানি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করায় তা বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৭ সালে রিট করেছিল। রিট মামলার শুনানি শেষেও সব কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
কিন্তু আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বরিশালের ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি করছে এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এরপর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দয়ের করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত অবমাননার এই আদেশ দেন।
আইনজীবী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। সে কারণেই আদালত এ রকম রায় দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে উৎপাদন চালিয়ে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে অনেক মানুষের ক্ষতি করছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস। কিন্তু ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা অন্যান্যরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কোম্পানির বিক্রয় ডকুমেন্ট থেকেও প্রমাণ পাওয়া যায় যে তারা অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করেছেন। তারা আদালতের ওপর অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন এবং আদালত অবমাননা করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।