স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করোনায় আক্রান্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তাঁর শরীরে অন্য কোনো সমস্যা নেই বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির লাইন ডিরেক্টর (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) ডা. মিজানুর রহমান। গণমাধ্যমকে ডা. মিজানুর রহমান জানান, ‘করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর আমি পরীক্ষা করাই। দুদিন আগে ফলাফল পজিটিভ এসেছে। বাসায় থেকে আমি চিকিৎসা নিচ্ছি। শরীরে অন্য কোনো সমস্যা নেই।’
এদিকে দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণের হার দিনদিন বেড়ে চলছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে তিনটি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। গত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা যেখানেই থাকি না কেন, টিকা দেওয়া হোক বা না হোক, তিনটি প্রটোকল আমাদের অনুসরণ করা উচিত—অবশ্যই ফেসমাস্ক পরতে হবে, সর্বাধিক সতর্কতা বজায় রাখা উচিত এবং জনসমাগমের স্থান যেমন, বিনোদনমূলক স্থান বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিতির সংখ্যা সীমিত রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘যারা এই জনসমাগমস্থলে যাবে, তাদের স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনে চলতে হবে। আমরা মনে করি না যে, আমরা নিরাপদ জোনে আছি। হ্যাঁ, আমরা যথেষ্ট ভালো অবস্থায় রয়েছি, তবে এটি আমাদের নিশ্চিত করে না যে, আমরা নিরাপদ জোনে আছি।’
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ‘গত কয়েকদিন বিশেষজ্ঞেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করা যাবে না, কারণ গত গ্রীষ্মেই সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ হয়েছে। এটি নিশ্চিত নয় যে, করোনা সংক্রমণ আবার চূড়ায় পৌঁছাবে না। যদিও আমরা সবাই আশঙ্কা করেছিলাম শীতকালে সংক্রমণ চূড়ায় উঠবে। আগামী এপ্রিল, মে ও জুন আমাদের চড়া গ্রীষ্ম এবং সে কারণেই আমাদের বিশেষজ্ঞেরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই মাসগুলোতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’