স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে নন্দদুলাল রক্ষিত
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে এবার আদালতে তোলা হয়েছে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার ৩ নম্বর আসামি নন্দদুলাল রক্ষিতকে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করা হয় তাঁকে। আদালতের খাস কামরায় ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শুরু হয়েছে। এর আগে তাঁকে কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
এর আগে গতকাল রোববার সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কক্সবাজার ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও আবদুল্লাহ আদালতে ১৬৪ ধারা অনুয়ায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এপিবিএনের এ তিন সদস্য সিনহা হত্যাকাণ্ডের সময় শামলাপুরের ওই চেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আজ শেষ দিন।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় আত্মসমর্পণের পর গত ৬ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দদুলাল রক্ষিতসহ সাত পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর সাতদিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরো সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিল র্যাব। আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ওই চারদিন রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরো চারদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে গত শুক্রবার আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।