স্বৈরাচারী সরকার হটাতে জীবনের বিনিময়ে আন্দোলন করছি : আমীর খসরু
‘স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে আমরা জীবনের বিনিময়ে আন্দোলন করছি’ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সকল সমমনা দলের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তে যুগপৎ আন্দোলন। এ বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোনো সুযোগ নাই। দেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যমাত্রা একটাই, এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন। মনে রাখতে হবে আমরা জীবনের বিনিময়ে আন্দোলন করছি।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক নিয়মিত সভায় আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু এসব কথা বলেন। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলার হলরুমে পার্টির চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সভায় ১২ দলীয় জোটের জন্য নির্ধারিত একটি সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, মুসলিম লীগের সভাপতি শেখ মো. জুলফিকার চৌধুরী বুলবুল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, জমিয়তে উলামা এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি গোলাম মো ইকরাম, জাগপার ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শাহ আলম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম ও কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন পার্টির মহাসচিব আবদুল আওয়াল মামুন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সকল সমমনা দলের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তে যুগপৎ আন্দোলন। এ বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নাই। দেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যমাত্রা একটাই। এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অংশকে ব্যবহার করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছে। মনে রাখতে হবে আমরা জীবনের বিনিময়ে আন্দোলন করছি। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে এমন কোনো পরিস্থিতি ছিল না। স্বউদ্যোগে দেশের স্বার্থে এগিয়ে যেতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলনকে সফল করতে হবে। দেশের মানুষ বাঁচতে চায়। সেজন্য তারা প্ল্যাটফর্ম খুঁজছে। সকল দল ও ব্যক্তির সম্মিলিত আন্দোলনে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পরবর্তী সরকার হবে। রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা বাস্তবায়ন করা হবে। ২৭টি পয়েন্টের বাইরেও যদি নতুন কোনো প্রস্তাবনা জনগণের পক্ষ থেকে আসে সেটা আমরা বিবেচনা করব। এখন শুধু একটাই লক্ষ্য, এই সরকারকে হটাতে হবে।’
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘এই বাংলায়, এই ভূখণ্ডে সকল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম সবকিছু জোটের রাজনীতির ফল। গণবিরোধী স্বৈরাচার জাতির ঘাড়ে চেপে আছে। জোটবদ্ধভাবেই এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে।’
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, ‘১২ দলীয় জোট যুগপৎ আন্দোলন করছে। লক্ষ্য একটাই এই সরকারের পতন। যে নামেই ডাকি না কেন একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভার মাধ্যমে যুগপৎ আন্দোলনকে জোরদার ও সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করা হচ্ছে।’