স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি : শিক্ষামন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে।’
গতকাল বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে মালয়েশিয়ার শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর টুংকু জাইন আল-আবিদিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনাহ হাশিম, ইউসিএসআই বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ও সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আরিফুল বারী মজুমদার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক মো. নাজমুল হুদা, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, পরিচালক আনিজা পারভীন, উপউপাচার্য ড. সিতি হামিসাহ বিনতি তাপসির, বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেন্ট শাহীন রেজা প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি গত বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রথম শাখা ক্যাম্পাস হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভ করে। এর ক্যাম্পাস রাজধানীর বনানীতে স্থাপন করা হয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মদ খালেদ নরডিন কুয়ালামপুরের মূল ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে-২০২৩ এ বিশ্ববিদ্যালটির রেটিং ২৮৪।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রাজধানীর বনানীতে ৪৫ হাজার বর্গফুটের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪টি ডিগ্রি এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে। এরমধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞান, ব্যবসা, প্রকৌশল, স্থাপত্য, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ডিজাইনের বিষয়গুলো অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়টির কুয়ালালামপুর মূল ক্যাম্পাসে ১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
ইউসিএসআই’র বাংলাদেশ ক্যাম্পাস আগামী সাত বছরের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হবে। যেখানে দুই লাখ বর্গফুটের বেশি আধুনিক স্থাপনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, কুচিং ও পোর্ট ডিকসনে তিনটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।