হত্যা ও মাদক মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার কৃষক মো. শরীফুল ইসলামের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামালায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত। অপর ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জিয়াউর রহমান জিয়া (পলাতক), আব্দুল্লাহ (পলাতক) ইকবাল (পলাতক), আলম, কামাল ও নাঈম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এনামুল ও শরীফুল বাড়ির কাজ দেখাশোনা করার জন্য ধলগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আসামিরা তাদের গতিরোধ করেন।দেশীয় তৈরি অস্ত্র রাম দা ও লোহার রড়সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখম করেন তারা।
পরে আহত দুজনকে নিয়ে যশোরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরীফুলের অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঘটনার পরের দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহত শরীফুলের চাচাতো ভাই মো. শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষ ১২ জনকে আসামি করে একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মাদক মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
অপর এক মাদক মামলায় ৫০০ বোতল ফেনসিডিল বিক্রির উদ্দেশে রাখার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে খুলনার সিনিয়ার দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালে ২৯ নভেম্বর রাত পৌনে ১টায় খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলা সদর থেকে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি মোস্তফা বিশ্বাস ও জাহাঙ্গীর আলমকে ৫০০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে।