হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে রিকশা থেকে কামরুল হাসান নামের এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের মামলায় মো. মাজেদুল হক মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে হত্যার পর মরদেহ গুম করার চেষ্টার অভিযাগে আরেক ধারায় মাজেদুল ও তার সহযোগী মো. নাসিরকে তিন বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবিনা আক্তার নামের এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলায় মকবুল হোসেন নামের অরেকজন আসামি বিচার চলাকালে মারা যান।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে রিকশার ওপর চটের বস্তার ভেতর সন্দেহজনক কিছু আছে, জানতে পেরে পুলিশ সেখানে যায়। সেখানে রিকশাচালক সুমন জানান, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি বস্তায় চাল ও বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে জানিয়ে রিকশায় তা তুলে দিয়ে সামনে যেতে বলেন। তিনি পেছনে আসছেন বলে জানান। কিছু সময় পর পেছনের ওই লোককে না পেয়ে আশপাশের লোকদের বিষয়টি জানান রিকশাচালক। পুলিশ উপস্থিত লোকজনের সামনে বস্তা খুলে মরদেহ দেখতে পান। মরদেহের সঙ্গে থাকা মানিব্যাগে ঠিকানা পেয়ে পুলিশ যোগাযোগ করে ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করে।
মামলায় আসামি সজিবের দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, ভিকটিম কামরুল হাসানকে ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসায় হত্যা করেন মানিক। এ ঘটনায় দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান ২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বিরুদ্ধে মামলা করেন।