হাইওয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই মামলা
ফরিদপুরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল ‘বন্ধের নির্দেশনা থাকা’ ও ‘উত্তেজনা’ ছড়িয়ে থানায় হামলা ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি করা হয়।
মামলা দুটির একটি করেন কানাইপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আল মামুন শাহ। তিনি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলটিতে সাতজন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
একই আইনে অপরটি মামলাটি করেন বাড়ির মালিক মো. নান্নু। এতে তিনজন এজাহার নামীয় ও ১৫০ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল জানান, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে গত রোববার রাতে কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় একটি জুট মিল মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মারকাজুত তাকওয়া ইসলামি মাদ্রাসা ও সরদারবাড়ি জামে মসজিদ এ মাহফিলের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের। তার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের নিজেদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়ায়। পরে একটি পক্ষ উত্তেজনা ছড়িয়ে হাইওয়ে থানাসহ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালায়। আর এই ঘটনায় করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ ও ভাঙচুরকৃত বাড়ির মালিক মো. নান্নুর পক্ষ থেকে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় একটি জুট মিল মাঠে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে মাহফিলের মাইকে আবু ত্বহা বক্তব্য দেবেন না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘প্রশাসনের আপত্তি’র কারণ দেখিয়ে তখন ওয়াজ মাহফিলও বন্ধ করা হয়। এতে মাহফিলে উপস্থিত শ্রোতাদের একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। আরেকটি অংশ ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে অবস্থিত থানায় হামলা চালায়। তারা সেখানে পুলিশের দুটি গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স ও থানা ভবনের জানালা ভাঙচুর করে। পরে ফরিদপুর থেকে দাঙ্গা পুলিশ এসে শটগানের গুলি ছুড়ে রাত প্রায় ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।