হাওরে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আরও তিন আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কাপুর হাওরে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে স্বামীকে বেঁধে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ওই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের জুয়েল মিয়া, হৃদয় ও সুজাত।
আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে পুলিশ সুপারের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী।
এ সময় পুলিশ সুপার জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ রাঙামাটি জেলার দুর্গম নানিয়ারচরে পাহাড়ের পাদদেশে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের এক যুবক তার নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে টিক্কাপুর হাওরে ঘুরতে যান। হাওরের মধ্যখানে যাওয়ার পর একই গ্রামের মুছা মিয়ার নেতৃত্বে আট যুবক তাদের নৌকায় উঠে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার পর স্বামী-স্ত্রী ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। গত বুধবার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী।
ঘটনার পর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নববধূর স্বামীর কাছে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। অবশেষে তিনি নিরুপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন।