হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশনেত্রীর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত : মঞ্জু
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দাম্ভিকতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশনেত্রীর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
আজ শুক্রবার সকালে কেন্দ্র ঘোষিত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার খুলনা বিভাগীয় সদরে সমাবেশ সফলের লক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জু এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করছে। কারাগারে সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় বর্তমানে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এমন পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ মতো বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়া চরম নিষ্ঠুরতা। প্রতিহিংসাপরায়ণতা, সংকীর্ণতা, দল ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অতি দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য অনুমতি দিন। মহানগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল স্বাক্ষরিত ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
সাবেক সাংসদ মঞ্জু খুলনা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশনেত্রীর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দাম্ভিকতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারকে রাজনীতি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে অবিলম্বে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানান। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।
সভা থেকে জানানো হয়, ৩০ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশ সফল করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেতাকর্মী ও খুলনাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মানবিক কর্মসূচিতে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে মঞ্জু বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ নিবন্ধিত জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। সাংবিধানিক অধিকার আছে মত প্রকাশের। তাই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বেআইনি বল প্রয়োগ এবং বাধা না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিগত ২০ ও ২২ নভেম্বর বিএনপির কর্মসূচিতে বাধাদান বিশেষ করে ২২ তারিখের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বেআইনি হামলা, সিনিয়র নেতাদেরসহ শতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, মহিলাকর্মীকে বেপরোয়া লাঠিপেটা করে আহত করায় এবং বিএনপিনেতা জামিল, সোহাগ, হেদায়েতসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা জানানোসহ অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
অতি উৎসাহি পুলিশের একটি অংশ ক্ষমতাসীন বিশেষ গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন রাষ্ট্রীয় পুলিশ এ ধরনের ন্যক্কারজনক আচরণ করতে পারে না। যেকোনো মূল্যে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৩০ নভেম্বরের সমাবেশ সফল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলনে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে যোগদানের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, আমির এজাজ খান, মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আব্দুর রকিব মল্লিক, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, শেখ মোশাররফ হোসেন মফিজ, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, নিজাম উর রহমান লালু, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, খন্দকার ফারুক হোসেন, আবু সাঈদ শেখ, জহর মীর, এনামুল কবির ডায়মন্ড, হাফিজুর রহমান মনি, আবুল কালাম শিকদার, বদরুল আনাম, ইসাহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, আকরাম হোসেন খোকন, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, ইমতিয়াজ আলম বাবু, মোস্তফা কামাল, আসলাম হোসেন, আশরাফ হোসেন, জাকির হোসেন, জাহিদ কামাল টিটো, বাচ্চু মীর, আব্দুস সালাম, নাসির খান, আ. আলিম, কাজী শাহনেওয়াজ নিরু, তৌহিদুর রহমান খোকন, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কাজী মাহমুদ আলী, কাজী একরাম মিন্টু, শাহনাজ পারভীন, কাজী ফজলুল কবির টিটো, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, শেখ হেমায়েত হোসেন, শামসুল বারি পান্না, জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. ফারুক হোসেন, লিটু পাটোয়ারি, মনিরুজ্জামান লেলিন, বাবুল মুন্সি, ফকির সাইফুল ইসলাম, নুর ইসলাম লিটন, আশরাফ ঢালী, সেলিম বড়মিয়া, ডা. হালিম মোড়ল, শাহারুজ্জামান মুকুল, রাজু মোল্লা, তরিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মারুফ হোসেন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।