হাটে আসা পশু মোটাতাজায় ওষুধ প্রয়োগ করলে ব্যবস্থা নেবে র্যাব
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটগুলোতে যেসব পশু আসছে, তাতে মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে কি না, তা জানতে হাটে অভিযান চালাবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এতথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাবতলী পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। র্যাব সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীরা হাটে আনা গরুর মধ্যে মোটাতাজাকরণ বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট পশু ডাক্তারসহ অভিযান পরিচালনা করছে। তাঁরা দেখছেন—কেউ মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ করেছে কি না।’
‘কোনো পশুকে ওষুধ খাইয়ে হাটে আনা হলে পশুর ডাক্তার বিষয়টি বুঝবেন। এমন কোনো ব্যবসায়ীকে পাওয়া গেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘হাটকেন্দ্রিক জাল টাকার লেনদেন বৃদ্ধি পায়। আমাদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন রয়েছে। সন্দেহ হলে আমাদের কাছে এসে যে কেউ মেশিনের মাধ্যমে টাকা যাচাই করে নিতে পারবেন।’
মঈন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পশুর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু নিয়ে এসেছেন। তবে, আসার পথে কোথাও কোনো ধরনের ডাকাতি বা চাঁদাবাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন। তারপরেও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। কোথাও এমন কোনো শঙ্কা থেকে থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘অনলাইনে প্রচুর পশু কেনাবেচা হচ্ছে। তাই অনলাইনেও মনিটরিং করা হচ্ছে। গ্রাহক যেন কোনভাবেই প্রতারিত না হয়। আমরা যে কোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
যে কোনো সমস্যায় র্যাবকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা মাঠে আছেন। ঈদে রাজধানী শূন্য হয়ে পড়বে। এলাকাভিত্তিক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাসা-বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো যেন অ্যাকটিভ থাকে। যদি কেউ মনে করেন, তাহলে র্যাবের সহযোগিতা নিতে পারবেন। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হচ্ছে, র্যাবের পেট্রোল টিম কাজ করছে।’