হাশেম ফুডসে অগ্নিকাণ্ড : সিআইডির তদন্ত শুরু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস লিমিটেডের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ শনিবার দুপুরে সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ইমাম হোসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে রূপগঞ্জের ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডসের কারখানা পরিদর্শন করেন। পরে অতিরিক্ত ডিআইজি গণমাধ্যমকর্মীদের তদন্তের বিষয়ে অবহিত করেন।
এ সময় ইমাম হোসেন বলেন, আমরা দ্রুত মামলাটির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করব। এরই মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ অনুসন্ধান করাসহ সব বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি মহোদয় আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, তদন্তে ১০টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখানে সরকারি অন্যান্য সংস্থা যার যা দায়িত্ব ছিল তারা সেই দায়িত্ব পালন করেছে কি না সেটাও দেখা হবে।
গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জের ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডসের এই কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামের দুই শ্রমিকের লাশ কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মুরসালিন (২২) নামের এক কর্মী রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছিলেন। পরদিন ৯ জুলাই দুপুরে কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৯টি লাশ। লাশগুলো পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে আসা হয়।
অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গত ১৭ জুলাই সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই দিনই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক ফাহমিদা খানম প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তাঁর চার ছেলে হাসিব বিন হাশেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীম এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, হাশেম ফুড লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও অ্যাডমিন প্রধান সালাউদ্দিন।